Labeo rohita-র শ্বসনতন্ত্র
(Respiratory system of Labeo Rohita):
Labeo একটি অস্থিময় মাছ। চারজোড়া ফুলকা (gill) এ মাছের শ্বসন অঙ্গ। এগুলো মাথার দুপাশে দুটি কানকে (opertculum)-তে আবদ্ধ ফুলকা-প্রকোষ্ঠ (branchial chamber)-এর ভিতর রক্ষিত এবং গলবিলের পার্শ্বপ্রাচীরে মেঝেয় অবস্থিত। কানকোর পশ্চাৎ কিনারা একটি পাতলা ব্রাঙ্কিওস্টেগাল ঝিল্পি (branchiostegal membrane) যুক্ত মাথার অঙ্কীয়দেশে সেঁটে থাকে। ঝিল্লিটি কতকগুলো অস্থিনির্মিত দণ্ড বহন করে। এটি কানকোকে দেহপৃষ্ঠে আটকে রেখে ফুলকা প্রকোষ্ঠ বাইরে থেকে বন্ধ রাখে, এভাবে “শ্বাস পানি” আবদ্ধ রেখে মাছকে শ্বসনে সাহায্য করে।
ফুলকার গঠন (Structure of Gill): প্রত্যেকটি ফুলকা দেখতে সুতার মতো এবং একেকটি হোলোব্রাঙ্ক (পূর্ণফুলকা), কারণ প্রত্যেক ফুলকা দুটি সদ্যৃশ অর্ধাংশ নিয়ে গঠিত। প্রত্যেক অর্ধাংশকে বলে হেমিব্রাঙ্ক (অর্ধফুলকা)। প্রত্যেক হেমিব্রাঙ্ক একসারি করে ফুলকা সদ্যৃশ (gill filament) বা ফুলকা ল্যামেলা (gill lamella) বহন করে। এগুলো গোড়ায় যুক্ত, শীর্ষে মুক্ত। প্রতিটি সদ্যৃশ এপিথেলিয়ামে আবৃত অসংখ্য অনুপ্রস্থ প্লেট বহন করে। এপিথেলিয়াম রক্ত-জালিকা সমৃদ্ধ। প্রত্যেক ফুলকা একেকটি অস্থিময় ফুলকা আর্চ (gill arch)-এ অবলম্বিত। এভাবে প্রত্যেকে আর্চে দুটি ফুলকা-সারি যুক্ত থাকে। আর্চের অন্তঃকিনারা প্রসারিত হয়ে কাঁটাযুক্ত পাতলা ফুলকা রেকার (gill raker) গঠন করে।